সিকিমের ” ইয়াকটেন ” (অফবিট গন্তব্য) :-
চারপাশে সবুজ এলপাইন ফরেস্ট, প্রেক্ষাপটে হিমালয় পর্বতমালার জাঁকজমকপূর্ণ দৃশ্য দ্বারা অলংকৃত সিকিমের এই ছোট গ্রামটি তার নির্মলতার জন্য অভিযানপ্রিয় প্রকৃতি প্রেমীদের কাছে একটি আদর্শ হলিডে আশ্রয় হিসেবে প্রমাণিত। গ্যাংটক থেকে 35 কিমি দূরে এবং শিলিগুড়ি এনজেপি রেলস্টেশন থেকে প্রায় 140 কিমি এবং বাগডোগরা এয়ারপোর্ট থেকে প্রায় 145 কিমি দূরত্বে অবস্থিত এই গন্তব্যটিতে কাঞ্চনজঙঘার শৃঙ্গের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, প্রজাপতিদের এবং পাখিদের বাহার এবং দুর্লভ অর্কিডের প্রাচুর্য রয়েছে। এখানে অনেক কৃষিআবাদী জমি রয়েছে। কিন্তু গ্রামের বেশীরভাগই বিস্তীর্ণ সবুজ গাছপালা দিয়ে আবৃত।দুর্লভ অর্কিড বৃক্ষগুলো রঙিন ফুলের দ্বারা পরিপূর্ণ এবং সুসজ্জিত। এর 2 কিমির মধ্যে রয়েছে আইকনিক ঝান্ডী ধারা ভিউ পয়েন্ট। 10 কিমি পাহাড়ের উপরে পকইয়গ থেকে সিকিমের এয়ারপোর্ট দেখা যায়। প্রায় 5,300 ফিট উচ্চতার এই গন্তব্যটিতে কিছু সবুজ এলপাইন ফরেস্টের মধ্য দিয়ে ভ্রমণ করার সময় পাখি পরিদর্শন স্হানগুলো দেখতে পাওয়া যাবে। যেখানে হিমালয়ান পাখিদের প্রাচুর্য রয়েছে।গ্রামটির চারপাশে প্রস্ফুটিত ফুলের বাগান, শাকসবজি-শস্যক্ষেত্র, প্রায় প্রত্যেক বাড়ির সামনে বাঁধাকপির চাষ স্পষ্টভাবে লক্ষনীয়। ঝান্ডী ধারা এবং বুদাঙ্গ গাদি নামক দুটি স্হানে প্রাচীনত্ব দূর্গের ধ্বংসাবশেষ পর্যবেক্ষণ করা যাবে। সেই সঙ্গে দর্শনীয় হয়ে উঠবে মাউন্ট কাঞ্চনজঙঘার প্যানরোমিক দৃশ্য। বর্ষাকাল ছাড়া সবসময় এখানকার সিজেনটাইম। এখানে মৌলিক এবং আরামদায়ক সুবিধালব্ধ সরকার পরিচালিত হোমস্টে বা রিসোর্ট এবং পাশাপাশি প্রাইভেট হোমস্টেতে রাত্রি যাপনের জন্য সঠিক হবে।