দার্জিলিং এর ” সুখিয়াপোখরি ” (অফবিট ডেস্টিনেশান) :-
ইন্দো-নেপাল বর্ডারের নিকটবর্তী ,প্রায় 7,198 ফিট উচ্চতায় খুবই ছোট্ট কিন্তু প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে পূর্ণ শহর সুখিয়াপোখরি। মহনীয় কাঞ্চনজঙঘার জাঁকজমকপূর্ণ দৃশ্য, বালাসন নদী উপত্যকা এবং উত্তরের রঙ্গিত নদী প্রভৃতির সৌন্দর্য সুখিয়াপোখরি পর্যটকদের উপহার দেবে। সারাবছরই এখানকার তাপমাত্রা খুবই মনোরম। স্তম্ভিতকর দৃশ্য নিয়ে দন্ডায়মান পূর্ব হিমালয়ের সুউচ্চ উপত্যকার মধ্যে অবস্থিত এই সুখিয়াপোখরি গন্তব্যটিতে ভ্রমণ একটি অবিস্মরনীয় অভিজ্ঞতা। পাইন বৃক্ষের গভীর অরন্য, সবুজ চা বাগানের দ্বারা আচ্ছন্ন উপত্যকা থেকে ধীরে ধীরে ভূখন্ডের পরিবর্তনের সচিত্র রূপ এবং গন্তব্যে ভ্রমণকালে পার্বত্য ঠান্ডা হাওয়ায় পর্যটকদের মন উদ্বেলিত করে তুলবে। বসন্তকালে রডোডেনড্রন বৃক্ষ সুখিয়াপোখরির সমগ্র উপত্যকাকে বিস্ময়কর পরিবেশে সুসজ্জিত করে দর্শকদের উপহার দেবে। এর 2 কিমির মধ্যে রয়েছে পর্বতের উপরে অবস্থিত একটি ইকো ফ্রেন্ডলি ডেস্টিনেশান জোড়পোখরী ।যেখানে ভ্রমণ করে হিমালয়ান সরীসৃপতুল্য উভচর প্রাণীদের সংরক্ষণ পরিলক্ষন করা যাবে। জোড়পোখরীতে পাইন বৃক্ষের সবুজ অরণ্যের মধ্যে অবস্থিত দুটি হ্রদের রূপবৈচিত্র্য অনুভব করতে পারবেন। সুখিয়াপোখরি গন্তব্যটি মানেভঞ্জন যাওয়ার পথেই রয়েছে। পর্যটকরা এখানে থেকে মানেভঞ্জন ও ভ্রমণ করতে পারবেন। যেখানকার 1950 সালের প্রাচীন ল্যান্ড রোভার গাড়ির বহুল সংগ্রহ দর্শন এবং গভীর রডোডেনড্রন ফরেস্টের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন প্রমোদভ্রমণ করা যাবে। সুখিয়াপোখরির নিজস্ব মার্কেট রয়েছে। যেখানে ভ্রমণকালে দেখা যাবে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকেদের শান্তিপূর্নভাবে একত্র বসবাসের স্পষ্ট ছবি। বরফাচ্ছন্ন পর্বতমালার আড়ালে সূর্যাস্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘনকুয়াশাচ্ছন্ন করা আবার মহীয়ান পর্বতমালার উপর দিয়ে অরেঞ্জ রূপালোকিত সূর্যোদয় – অসাধারণ বিস্ময়। এপ্রিল থেকে মে এবং অক্টোবর থেকে নভেম্বর এখানকার সবচেয়ে ভালো সিজেনটাইম।