ডুয়ার্সের ” রকি আইল্যান্ড ” (অফবিট গন্তব্য) :- মূর্তি নদীর তীরে আঁকাবাঁকাভাবে গড়ে ওঠা সবুজ উপত্যকা এবং গভীর অরন্যের মাঝে প্রকাশিত, নবগঠিত অদ্ভূত গন্তব্য ডুয়ার্সের রকি আইল্যান্ড। যার দূরত্ব শিলিগুড়ি শহর থেকে 82 কিমি। বিশালাকার পাথরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত মূর্তি নদী, এবং মাদার নেচারের মতো প্রকৃতির রূপবৈচিত্র্য এখানকার আকর্ষণ। হিমালয় পর্বতমালার পাদদেশে অবস্থিত এই আদর্শ গন্তব্যটি থেকে বিভিন্ন অভিযানমূলক কাজকর্ম, যেমন -রক- এ ওঠা এবং ভ্রমণ করা যাবে। মাত্র 2 কিমির মধ্যে স্যামসিং নামক একটি জনপ্রিয় গন্তব্যের বিস্তৃত চা বাগানে ভ্রমণ করা যাবে। চারপাশের সুউচ্চ পর্বতমালা এবং মোটা কাষ্ঠলযুক্ত বৃক্ষের বনাঞ্চলের মধ্য দিয়ে ভ্রমণ, তারপর সেখান থেকে প্বার্শবর্তী ইন্দো ভূটান বর্ডারের কাছে 1,500 মিটার উচ্চতার টোডে -টাংটা ভ্রমণ এবং মৌচাকী প্রভৃতি ভ্রমণ করা যাবে। নিওরা নদীর পাশে মৌচাক একটি ছবির মত আঁকানো গ্রাম, যার একপাশে রয়েছে হিমালয় পর্বতমালার দুর্ধর্ষ দৃশ্য এবং অন্যদিকে ডুয়ার্স-অঞ্চলের হরিত সমভূমি। এখানে অনেকগুলো রক রয়েছে ,যেমন -হান্সডেনজুস, নীলকান্ত, ভীমসেন, এবং পাথর কৈলাস প্রভৃতি। মূর্তি নদীতে ছিপ দিয়ে কাতলা মাছ ধরা, নদীতীরে ক্যাম্পিং করা, রকের উপর অবতরণ করা, ভূদৃশ্যের পরিবর্তনের সচিত্র রূপ অনুধাবন -যেমন বিস্তীর্ণ চা বাগান এবং গভীর অরন্য ধীরে ধীরে বড়ো বড়ো রকে রূপান্তর –সবমিলিয়ে এক মাদার নেচারের তুল্য প্রকৃতির অবিস্মরনীয় অভিজ্ঞতা। রকি আইল্যান্ডে কয়েকটি প্রাকৃতিক উপায়ে নির্মিত রিসোর্ট এবং হোমস্টেতে থাকার সুব্যবস্থা রয়েছে অথবা নদীতীরে চন্দ্রালোকিত রাতে ক্যাম্পিং করে ও থাকা যাবে। রাত্রিবেলা মূর্তি নদীর কলকল ধ্বনি এবং ঝিঁ ঝিঁ পোকার গান দেহমনকে সতেজ করে তুলবে। এর মনোরম আবহাওয়ায় অল টাইম সিজেনটাইম হলেও শীতকাল (অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর) খুব ভালো সময়।
ReplyForward |