ডুয়ার্সের ” রায়ডাক ” (অফবিট গন্তব্য) :-
রায়ডাক নদীর তীরবর্তী অধ্যুষিত অঞ্চল সবুজ বৃক্ষের অরন্যে রূপান্তরিত হয়ে রায়ডাক ফরেস্টের জন্ম দিয়েছে। ভারতের 1909 সালের প্রাচীন একটি ফরেস্ট রেস্ট হাউজ এখানে রয়েছে। শিলিগুড়ি থেকে এর দূরত্ব প্রায় 167 কিমি। ভুটানের ট্রান্স -বাউন্ডারি দেওয়া ব্রহ্মপুত্র নদী ভুটান হয়ে ডুয়ার্সের সমভূমিতে পৌঁছে রায়ডাক নদী নামে প্রবাহিত হয়েছে , তাই একে ওয়াং -চু বলা হয়। আলিপুরদুয়ারের কাছে অবস্থিত রায়ডাক ফরেস্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ বক্সা টাইগার রিজার্ভের এলিফ্যান্ট করিডোর। রায়ডাক পর্যটকদের উপহার দেবে অবিস্মরনীয় কিছু ভ্রমণ ,যেমন – রায়ডাক নদীর দ্রুত স্রোতস্বিনী প্রবাহের পথে শামুকখোলা হয়ে সবুজাভ চা বাগানের বিছানো কার্পেটের মধ্য দিয়ে রায়ডাক ফরেস্টের দিকে প্রমোদভ্রমণ , রাভা ট্রিবস্ এর অন্তর্গত বিস্তীর্ণ চা বাগানের নিজস্ব অনন্য সভ্যতা -সংস্কৃতি-জীবনযাত্রা । এই ফরেস্টে রয়েছে -বন্য হাতি, লেপার্ড, হায়না, হিমালয়ান ব্ল্যাক বিয়ার ,ফিশিং ক্যাট, জ্যাকল, বন্য কুকুর, বন্য শূকর, ওয়াইল্ড পিগ্ ,প্যানগোলিন, শজারু , বিভিন্ন প্রজাতির হরিণ, প্রভৃতি। পাখিপ্রেমীদের কাছে রায়ডাক পাখিদের বিচরণের স্বর্গরাজ্য বলে অনুভূত হবে। এখানে রয়েছে – শিংওয়ালা ঠোঁটযুক্ত পক্ষী, জঙ্গল মাইনা, লাল জঙ্গল পাখি, কাঠঠোকরা, নিশাচর পাখি, চন্দ্রাল তিরি,ধূসর হেরন, বালিহাঁস, হংস এবং ময়ূর প্রভৃতি। এছাড়া দেখা যাবে পাথর অজগর, ব্যান্ডেড ক্রেট, শঙ্খচূড়, রাসেল ভাইপার প্রভৃতি। রায়ডাকে থেকে কাছাকাছি গ্রাম যেমন বুটাংঘাট, বক্সা টাইগার রিজার্ভ প্রভৃতি ভ্রমণ করা যাবে। অল টাইম সিজেনটাইম হলেও মিড জুন থেকে মিড সেপ্টেম্বর এখানকার সবচেয়ে ভালো সিজেনটাইম ।