দার্জিলিং এর ” তিনচুলে ” (অফবিট গন্তব্য) :-
শিলিগুড়ি এনজেপি থেকে এই গন্তব্যটির দূরত্ব প্রায় 68 কিমি ।প্রায় 5,800 ফিট উচ্চতায় অবস্থিত দার্জিলিং এর একটি ছোট পার্বত্যময় গ্রাম তিনচুলে। দার্জিলিং শহর থেকে এর দূরত্ব 32 কিমি। তিনচুলের অর্থ স্হানীয় ভাষায় তিনটি ওভেনস্ বা চুলা। এই নামকরনের কারন তিনটি বিশিষ্ট পাহাড়ের উপরিতলে এর অবস্থান ,যেটা দূর থেকে দেখতে ওভেনস্ বা চুলার মত লাগে। এলপাইন ফরেস্টের দ্বারা সুসজ্জিত সবুজ উপত্যকার এই নবগঠিত অফবিট ডেস্টিনেশানটির ভেতরে এবং চারপাশে অনেকগুলো সচিত্র দর্শনীয় স্থান রয়েছে। সেগুলো হল – তিনচুলে মনেস্ট্রি ,যা স্হানীয়দের কাছে একটি পবিত্র স্থান কারন 17 বছর যাবত এক সন্ন্যাসীর সংকল্পিত বা ধ্যান সম্পর্কে একটি উপকথা প্রচলিত রয়েছে এবং তিনচুলে সানরাইজ পয়েন্ট ভ্রমণ । আবার এই পয়েন্ট থেকে তিস্তা ভ্যালী, কালিম্পং, পূর্ব ও পশ্চিম সিকিম ,লাটপাম্চার এবং বরফাবৃত হিমালয়ান শৃঙ্গ দর্শন করা যাবে। এখানে থেকে কিছু সংক্ষিপ্ত প্রমোদভ্রমণ যেমন – দার্পিন ধারা, তিস্তা ও রঙ্গীত নদী , এবং গুম্ফা ধারা ভিউ পয়েন্ট প্রভৃতি করা যাবে। পাইন এবং দেবদারূ বৃক্ষের অরন্যের মধ্য দিয়ে ভ্রমণকালে ব্রিটিশ আমলের ভারতীয় আর্ট এবং কালচারের গৌরব বৈশিষ্ট্য গুম্ফা দারা রকস্ নেতৃত্ব দিয়ে চলেছে। প্যানরোমিক এবং সচিত্র ভূদৃশ্যের মধ্যে অবস্থিত গুম্ফা দারা রকসের নীচে অনেক গুহা গোপন করা আছে। যেটা প্রাচীন আমলের অনেক রহস্য ধরে রেখেছে। গুম্ফা দারা রকস্ সেই থেকে একটি ঐতিহাসিক তাত্পর্য 200 বছরের পুরোনো কিংবদন্তী বা কাহিনীকে ধরে রেখেছে। জনশ্রুতি অনুসারে একদল লামা তাদের শত্রুদের হাত থেকে পালিয়ে এসে গুম্ফ দারা শিলায় আশ্রয় নিয়েছিল। তিনচুলে হ্যামলেট একটি স্বনির্ভর ইকো – আরবান গ্রাম হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। বিশ্ব বন্যজীবন ফেডারেশন এই গ্রামটিকে একটি মডেল গ্রামে রূপান্তর করতে আগ্রহ দেখিয়েছে। এই গ্রামটিতে রয়েছে ফ্লোরিকালচার প্রকল্প, বন নার্সারি এবং কম্পোস্ট – ভার্মিন কম্পোস্ট সার প্রকল্প। বছরের সবসময় এই গন্তব্যটির আবহাওয়া ঝলমলে সুন্দর থাকে তবুও সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর এখানে আসার জন্য সবচাইতে ভালো সিজেনটাইম।