দার্জিলিং এর ” তাকধা ” (অফবিট ডেস্টিনেশান) :-
তাকধার দূরত্ব শিলিগুড়ি এনজেপি থেকে প্রায় 75 কিমি। তাকধার প্যানরোমিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, হরিতাভ বিস্তীর্ণ চা বাগান, এবং প্রস্ফুটিত অর্কিড ফুল পর্যটকদের হৃদয় জয় করে নেবে। স্বাধীনতা লাভের পূর্বে তাকধা ছিল ব্রিটিশ আমলের সেনানিবাস ।বর্তমানেও ব্রিটিশ আমলের অনেক উল্লেখযোগ্য কাঠামোর নিদর্শন এখানে খুঁজে পাওয়া যায়। দারূবৃক্ষের মাঝখানে অবস্থিত এই শহর থেকে 1 কিমির মধ্যে ব্রিটিশ আমলের সেনানিবাসের পুরোনো ক্লাব অবস্থিত। প্রায় 4,000 ফিট উচ্চতায় অবস্থিত তাকধার অর্থ এসেছে ঘন কুয়াশা থেকে। যেটা তাকধায় ভ্রমণকালে আমরা অনুভব করতে পারব। বিভিন্ন পাখির সংগীত, ঝর্নার নির্ঝর রূপ, ঘন কুয়াশাচ্ছন্ন রাস্তা এবং ফরেস্টের মধ্য দিয়ে ভ্রমণপথ – এইগুলো তাকধার আকর্ষণ। তাকধায় থেকে পর্যটকরা ভ্রমণ করতে পারবেন দার্জিলিং এর দর্শনীয় চা বাগান, রংলি রংলিআউট চা বাগান, গিএল, নামরিং এবং পাবং চা বাগান প্রভৃতি। পাবং চা বাগানের ঠিক নীচে 1916 সালে নির্মিত 100 বছরের পুরোনো তার সংযুক্ত ঝুলন্ত সেতু রয়েছে। তাকধা সেনানিবাস প্রতিষ্ঠিত হয়েছে 1911 সালে। এই ব্রিজ ছিল ঘুম হয়ে শিলিগুড়ি যাওয়ার একমাত্র রাস্তা। সংক্ষিপ্ত রাস্তার প্রয়োজনে এই সেতুর জন্ম হয়। এছাড়া তিস্তা উপত্যকা চা বাগান, তিস্তা নদীর মনোরম দৃশ্য, দার্পিন ধারা ভ্রমণ করা যাবে। একসময় এশিয়ার সর্বোপরি অর্কিড সেন্টার তাকধায় ছিল। কয়েক দশক ধরে তা অবহেলায় থেকেছে। কিন্তু বর্তমানে আবার তা ফিরিয়ে আনার জন্য কর্মসূচী নেওয়া হচ্ছে। 1985 সালের ডেকেন পেমা ছোলিং মনেস্ট্রি এবং রোলিং চা বাগানের দৃশ্য পর্যটকদের সম্মোহিত করে তুলবে। 107 বছরের পুরোনো তিব্বতীয় বুদ্ধিজম্ এর তাকলিন মনেস্ট্রি ভ্রমণ এবং দর্শন করা যাবে। এই মনেস্ট্রির একটি গল্প রয়েছে। 2004 সালের এক সকালের প্রার্থনার পর সবাই বেরিয়ে গেলে এই আশ্রমটি পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়। হঠাৎ আশ্রমটি থেকে জোরে শিঙ্গার আওয়াজ বেরিয়ে আসে। তা শুনে আশ্রমের সন্ন্যাসীরা এবং স্হানীয়দের দ্বারা আশ্রমটি আবার খোলা হয়। কিন্তু কোন কিছু খুঁজে পাওয়া যায় না, এমনকি সেই শিঙ্গা ও যথারীতি রাখা আছে। স্হানীয়দের বিশ্বাসমতে এটা ছিল ঈশ্বরের আহ্বান। পর্যটকরা আরও ভ্রমণ করতে পারবেন 3 কিমির মধ্যে অবস্থিত তিনচুলের বরফাবৃত পর্বতমালা এবং সাপ্তাহিক বাজার বা স্হানীয় হাট বাজার ।অল টাইম এখানকার সিজেনটাইম।