দার্জিলিং এর ” মংপু বা মংপো ” (অফবিট গন্তব্য) :-       ঘুম থেকে তাগধা সেনানিবাসের দিকে প্রায় 3,700 ফিট উচ্চতায় এবং শিলিগুড়ি এনজেপি থেকে 78 কিমি দূরত্বে অবস্থিত একটি  পুরোনো ছোট্ট গন্তব্য মংপো। এখানে আসার পথে শুরুতেই পার হতে হবে বা দেখা যাবে বিভিন্ন রঙের ফুলের নার্সারী, ঘূর্নায়মান হরিত চা বাগান এবং স্ফটিকের ন্যায় স্বচ্ছ প্রবাহিনীর পরিষ্কার জল ।ম্যালেরিয়া রোগের ঔষধ কুইনাইন উৎপাদনের জন্য মংপু বিখ্যাত। যদিও এখনকার আধুনিক সময়ে কৃত্রিম কুইনাইনের কারনে এখানকার কুইনাইনের চাহিদা কমেছে। তথাপি এই জায়গার লোকেদের আয়ের উৎস হিসেবে এখনও ইহা সক্রিয় আছে। মংপোর বিপুল এলাকা সিঙ্কোনা বৃক্ষের বনাঞ্চল দিয়ে পরিপূর্ণ। সিঙ্কোনা গাছের নিষ্কাশিত শুকনো ছাল থেকে কুইনাইন নামক ড্রাগ তৈরি হয়। এই গন্তব্যটিতে ঢোকার মুখে রাস্তার দুপাশে বড় বড় নির্মাণ দেখতে পাওয়া যাবে। নিষ্কাশিত  সিঙ্কোনার ছাল শুকোনোর জন্য এই নির্মাণ গড়ে উঠেছে। সরকার এখানে 1864 সালে সিঙ্কোনা ফ্যাক্টরি সংস্থাপিত করেছেন। তা এখনো চালু রয়েছে। পর্যটকরা কোন প্রবেশ খরচ ছাড়াই এই কারখানায় ভ্রমণ করতে পারবেন এবং ভাগ্য ভালো হলে প্রক্রিয়াকরনও দেখতে পারবেন। পড়ুয়াদের জন্য এই কারখানা কুইনাইন নিস্কাশনের প্রদর্শন। এর ঠিক বিপরীতে রয়েছে মংপুর অপর বিখ্যাত রবীন্দ্র ভবন, যেটা রবীন্দ্রনাথ টেগোর মেমোরিয়াল মিউজিয়াম নামে পরিচিত। এখানে রবিঠাকুরের ব্যবহৃত মেহগনি কাঠের টেবিল ও পালঙ্ক দেখতে পাওয়া যাবে। এই ভবনে বসে রবিঠাকুর ‘ জন্মদিন ‘ কবিতা লিখেছেন। গরমকালে এখানে এসে কবি থাকতেন এবং 1938 থেকে 1940 সালের মধ্যে 4 বার তিনি এখানে ভ্রমণ করেছেন, তবে শেষ ভ্রমণে তিনি অসুস্থ হয়ে পরেছেন। মংপোকে স্কুলের জন্য ও জানা যায় কারন এত ছোট গন্তব্যে 12 টি স্কুল রয়েছে। গন্তব্যটির মার্কেট থেকে উপরে মংপো মনেস্ট্রি বা দিনচেন শেরাপ চোলিং গম্বা রয়েছে। মার্কেট থেকে 7 কিমির মধ্যে অর্কিড সেন্টার বা অর্কিডের বিভিন্ন রকম দর্শন এবং ভ্রমণ করা যাবে।

AkkCrusier

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *