দার্জিলিং এর ” মানেভঞ্জন ” (অফবিট ডেস্টিনেশান) :-  শিলিগুড়ি শহর থেকে প্রায় 92 কিমি দূরে এবং দার্জিলিং থেকে প্রায় 26 কিমি দূরে ,দার্জিলিং পাহাড়ের পাদদেশে প্রায় 1928 মিটার উচ্চতায় অবস্থিত মানেভঞ্জন একটি পর্বতময় গ্রাম্য শহর। যার অর্থ নেপালী ভাষায় বৌদ্ধস্তূপের জংশন। সিঙ্গালীলা ন্যাশনাল পার্কে ঢোকার প্রবেশদ্বার এই মানেভঞ্জন গন্তব্যটি। দার্জিলিং এর রিজার্ভ ফরেস্টের অন্তর্গত সিঙ্গালীলা ন্যাশনাল পার্ক পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে উঁচু পার্ক। মানেভঞ্জন এসে, ন্যাশনাল পার্ক হয়ে সান্দাকফু ভ্রমণ করা যাবে। এখানকার আকর্ষণ হলো -ঘুমন্ত বুদ্ধের চূড়ান্ত দৃশ্য। কাঞ্চনজঙঘার গঠিত পরিবারের পর্বতমালার গ্রুপ হলো এই ঘুমন্ত বুদ্ধ। ইহা শুরু হয়েছে কুম্ভকর্ণ শৃঙ্গ থেকে, তারপর কাঞ্চনজঙ্ঘা, শিম্ভু, কাঞ্চনজঙঘার নীচে কোকটাং, রাতং, ফ্রে  ,দক্ষিণ কাবরু, উত্তর কাবরু, কাবরু ফকড্  ,গৈচা, পন্ডিমের উপর রয়েছে এই ঘুমন্ত বুদ্ধ। সান্দাকফু – ফালুট এবং সিকিমের অন্য কিছু অংশ  থেকে এগিয়ে যখন এই শৃঙ্গগুলো দেখা যায়, মনে হয় যে, একজন বিশালাকার মানুষ ব্যবধানযুক্ত পা রেখে ঘুমিয়ে আছে। একে বলা হয় স্লিপিং বুদ্ধ। এই গন্তব্যটি থেকে সিঙ্গালীলা ভ্রমণের উচ্চতম স্থান সান্দাকফু এবং ফালুট রয়েছে। এখানে থাকার জন্য হোমস্টের সুবিধা রয়েছে। মানেভঞ্জন ছোট হলেও সান্দাকফুর মতো হিমালয় পর্বতমালার উচ্চতম গন্তব্যের দিকে ভ্রমণকালে পর্যটকদের ব্যবহারকারী প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এই গন্তব্যটির ছোট শহরে সহজেই পাওয়া যাবে। দার্জিলিং এর মধ্যে একমাত্র এই গন্তব্যটিতে অতীতকালের একটি বড় সংগ্রহ 1950 সালের ল্যান্ড রোভার গাড়ি রয়েছে।  এই গাড়িগুলো অসমতল বা বন্ধুর ভূমি এবং খাড়া ভূখন্ডের উপরে ভ্রমণ করার জন্য। পর্যটকরা এই গাড়িতে বসে সচিত্র গন্তব্য, বরফাবৃত পর্বতমালা দর্শন ও ভ্রমণ করা যাবে। সিঙ্গলীলা শৈলশ্রেনীর কাছের এই অফবিট গন্তব্যটি মাদার নেচারের মতো  হিমালয়ান ফ্লোরা এবং ফনার লালন করে যাচ্ছে। এপ্রিল থেকে জুন মাসে ন্যাশনাল পার্ক প্রস্ফুটিত রঙিন রডোডেনড্রন ফুলে সুসজ্জিত হয়ে ওঠে। মানেভঞ্জনে পর্যটকদের জন্য পারমিট করা হয় এবং ফরেনার ভ্রমণকারীদের জন্য ইমিগ্রেশন করা হয়। এপ্রিল থেকে মাঝামাঝি জুন মাস এবং অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর এখানকার সবচেয়ে ভালো সিজেনটাইম।

AkkCrusier

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *