ডুয়ার্সের ” বক্সা ফোর্ট ” (অফবিট ডেস্টিনেশান ):-
সমুদ্রতল থেকে প্রায় 2844 ফুট উচ্চতায়, শিলিগুড়ি থেকে প্রায় 181 কিমি দূরে এবং আলিপুরদুয়ার থেকে প্রায় 30 কিমি দূরত্বে অবস্থিত ডুয়ার্সের বক্সা টাইগার রিজার্ভ বা বক্সা ফোর্ট নামক জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রটি পর্যটকদের জন্য এক মনোমুগ্ধকর ও রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা সঞ্চার করবে। এটি পূর্ব ভারতের একটি অন্যতম প্রাচীন দূর্গ। উপকথা মতে, তিব্বত সম্রাট সসং-সিন-গ্যাম্পো সপ্তম শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে উত্তর -পূর্ব ভারতে তিব্বত আগ্রাসনের সময় এই দূর্গটি নির্মাণ করেছিলেন। তবে এর উত্থান নিয়ে অার একটি তও্ব রয়েছে যে, কামতপুর রাজবংশীয় রাজা সংকল্প তিব্বতী সেনাবাহিনীর আক্রমণ বন্ধ করতে দূর্গটি তৈরি করেছিলেন ।অষ্টাদশ শতকের শেষে ব্রিটিশ সেনাবাহিনী কোচ কিংয়ের অনুরোধে বক্সা ফোর্টে আক্রমণ করেছিল। দ্বিতীয় ডুয়ার্স যুদ্ধে ভুটানদের কাছ থেকে দূরে সরে যায়। ব্রিটিশরা দূর্গটি দখলের পর পূনর্গঠন করে। এই ফোর্টটি ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় ব্রিটিশ শাসক দ্বারা আটক শিবিরে পরিণত হয়েছিল । আন্দামানের বিখ্যাত সেলুলার কারাগারের পরে এই দূর্গটি ছিল ভারতের সবচেয়ে কুখ্যাত এবং অপরিহার্য কারাগার। নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোস এখানে বন্দী ছিলেন বলে জানা যায়। স্বাধীনতার পর এটি তিব্বতী এবং বাংলাদেশীদের শরণার্থী শিবির হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এখান থেকে বেশ কয়েকটি ভ্রমণপথ রয়েছে। 3 কিমির মধ্যে রয়েছে রোভারের পয়েন্টটি , যা পাখি পর্যবেক্ষকদের কাছে পাখিদের বিচরণের স্বর্গরাজ্য। এর 6 কিমির মধ্যে ভূটানের রূপম উপত্যকা ভ্রমণ করা যেতে পারে। এর 5 কিমির মধ্যে সুন্দর উপত্যকা লেপচাওয়া ভ্রমণ করে অনেক রোমাঞ্চকর ভূদৃশ্য সংগ্রহ করা যাবে। এই গন্তব্যটির ঘন জঙ্গলের মধ্য দিয়ে 13 কিমি ভ্রমণ করে জয়ন্তী গ্রামে ভ্রমণ করা যাবে, যদিও এর জন্য বনবিভাগ এবং অভিজ্ঞ গাইডের একটি সংস্হার অনুমতি দরকার হবে।