মিসটিক্যাল লোয়ার কালিম্পং (নিউ ডেস্টিনেশান) :-
       ‘ মিল্করুট ‘ বা ‘ মিসটিক্যাল লোয়ার কালিম্পং ‘একটি নবতম  গন্তব্য যা কালিম্পং এ অবস্থিত,যা তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও নির্মলতা নিয়ে নতুন রূপে নতুন সাজে আত্মপ্রকাশিত। ডেস্টিনেশানটি পানবু, সমথর, সিনজি, পাবং আর চুইখিম নিয়ে গঠিত। সিল্করুটের প্রতি পর্যটকদের আকর্ষণীয়তা এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের চাহিদা আরো অধিক পরিমানে পরিপূর্ণতা দেবে এই মিল্করুট। কারন এই গন্তব্যটি এতটাই নির্জীব, এতটাই নির্মল -বিশুদ্ধ যে এতদিন এটি সকল ভভ্রমণপ্রেমীদের দৃষ্টির আড়ালে ছিল, অনাবিষ্কৃত ছিল। তাই এই অধরা, পবিত্র ধরাছোঁয়ামুক্ত গন্তব্যটির প্রাকৃতিক এবং ভৌগোলিক স্বাদ আস্বাদনের ডিমান্ড এবং জনপ্রিয়তা  বেড়েই চলেছে। তাই  ভ্রমনপিপাসু পর্যটকদের চাহিদা মাথায় রেখে আমরা এই রুট ডেস্টিনেশান গুলোর নামকরণ করেছি ‘মিল্করুট ‘ বা ‘মিসটিক্যাল লোয়ার কালিম্পং’ – যা  নামকরণ হিসেবে যথার্থ। এখানে 4 দিন, 5 রাত্রি প্যাকেজ ট্যুর পর্যটকদের ভ্রমণকে জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে মাতিয়ে রাখবে। আবার তা 5 দিন 6 রাত্রি পুরো কভার হয়ে যাবে, যা পুরোপুরি পর্যটকদের চাহিদা অনুযায়ী নির্ভর। কালিমপং জেলার দক্ষিণ দিকে অবস্থিত এই গ্রাম গুলো। আছে নদী, জঙ্গল, কাঞ্চনজঙ্গা, ঝর্ণা আর প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যাওয়ার চেষ্টা। শিলিগুড়ি থেকে মাত্র ২ ঘন্টায় পৌঁছে যাওয়া যায় এখানে। রাস্তার অবস্থাও বেশ ভালো। এই বার চলুন ঘুরে আসি পাহাড়ের এই অচেনা গ্রাম গুলো।দিন ১ :– 
      এন. জে. পি থেকে কালিঝোরা ড্যাম, পানবু, মাকুম হয়ে সমথর পৌঁছে যাবো। সমথর এ নাইট স্টে করবো। পানবু ফরেস্ট পশ্চিমবঙ্গ দার্জিলিং জেলার কালিম্পং -I ব্লকে অবস্থিত একটি খুব ছোট গ্রাম এবং মোট ৫ টি পরিবার বাস করে। পানব্বু ফরেস্ট গ্রামের জনসংখ্যা ২০ জন, যার মধ্যে ১৩ জন পুরুষ  হোমক্লিংং সমার্থ হোমস্টে একটি নতুন গন্তব্য, এটি কালিম্পংয়ের সামথার গ্রামে অবস্থিত। এই কুমারী হ্যামলেটটি ম্যাডিং ভিড় থেকে অনেক দূরে। বাগডোগরা বিমানবন্দর এবং এনজেপি রেলস্টেশন থেকে মাত্র 46 কিলোমিটার দূরে। বিমানবন্দর বা এনজেপি থেকে হোমস্টে পৌঁছাতে 2.30 ঘন্টা সময় লাগবে। প্রত্যেকে এই উঠোন থেকে চাঁদনি কাঞ্চনজঙ্ঘার পাশাপাশি “ডায়মন্ড নেকলেস” উপভোগ করতে পারবেন। সম্পত্তি থেকে চরখোল 8 কিলোমিটার দূরে। প্রধান আকর্ষণ হ’ল পানবু, একমাত্র জায়গা যেখানে আপনি একই সাথে মাউন্ট কাঞ্চনজঙ্ঘা এবং ডুয়ার্স উভয়ই উপভোগ করতে পারবেন ।দিন ২ :– 
        আজ নোকদারা ঘুরতে বেরিয়ে পড়বো। সিনজি তে নাইট স্টে ।  নোক দারা পশ্চিমবঙ্গ ভারতের কালিম্পং শহর থেকে ২৮ তম কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি ছোট এবং সুন্দর গ্রাম। নোকদারের নামের উৎপত্তি লেপচা ভাষায় লেপচা শব্দ “নোক হ্লো” নোক থেকে, যার অর্থ কৃষ্ণ, কুয়াশা বা কোল্ড এবং হ্লো মানে পাহাড়, পরে নেপালি সেটেলাররা এটিকে নোকদারা অর্থ নোক পাহাড়, দারা মানে নেপালি ভাষার হিল বলা শুরু করে। নোকদরার নামের আরেকটি বিতর্কিত নাম নক্ত লেপচা নামে ব্যক্তির নামানুসারে নামকরণ করা হয়েছে। তিনি পাহাড়ের চূড়ায় ‘দো কে মু’ (একটি লেপচা ট্র্যাডিশনাল হাউস) তৈরি করেছিলেন। এবং নেপালি বসতি স্থাপনকারীরা এটি নাকতা দারা বলতে শুরু করার পরে নাকতার পাহাড় পরে নোকদারা।দিন ৩  :–
          সকাল ৪ টার মধ্যে ঝান্ডি তে সূর্যোদয় দেখতে বেরিয়ে পড়বো। ফিরে এসে ব্রেকফাস্ট করে রাইদারা, খানিখোলা, পাবং, চারখোল ঘুরে আসবো। সিনজি তে নাইট স্টে কোরবো। পাবং  (চরখোলের কাছে পাবং নামেও পরিচিত ) কালিম্পং জেলার সত্যিকারের গ্রামীণ জীবন এবং দূষণমুক্ত পরিবেশগত হটস্পট উপভোগ করার জন্য একটি আদর্শ গন্তব্য । লোবগাঁও এবং চরখোল নামে দুটি বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্রের মধ্যে অবস্থিত পাবং গ্রাম।  ইকো-ট্যুরিজম সার্কিট চাপিয়ে দেওয়ার জন্য আমি অন্যতম সেরা গ্রাম , যা মাউন্টের চমৎকার দৃশ্য উপস্থাপন করে offers কাঞ্চনজঙ্ঘা। এটি পাখি প্রেমীদের জন্য স্বর্গরাজ্যও বটে, গ্রাম ছাড়িয়ে পাহাড়ের বনাঞ্চলে অসংখ্য পাখি দেখা যায়। এখানে মিনিভেট, সানবার্ড, রোলার্স, গ্রাস, থ্রাশ, ওয়ার্ব্লার ইত্যাদির মতো কয়েকটি তালিকাভুক্ত রয়েছে    চরখোল ( চারখোল ) বা চরখোল পৃথিবীর একমাত্র স্বর্গ কালিম্পংয়ের নিকটবর্তী একটি ছোট (পাবং থেকে ৩.৫ কিমি) গ্রাম। চরখোল সমুদ্রতল থেকে 5,500 ফুট উপরে অবস্থিত এবং লোলেগাঁও থেকে দূরত্বটি 15 কিলোমিটার এবং লাভা (লাভা) থেকে মাত্র 40 কিলোমিটার    সানরাইজ ভিউ পয়েন্টটি অবশ্যই পাবং থেকে স্থান বা দর্শনীয় স্থানটি দেখতে হবে, কাঞ্চনজঙ্ঘার দুর্দান্ত দৃশ্য এখান থেকে দৃশ্যমান। আবহাওয়া পরিষ্কার থাকলে মাউন্ট এভারেস্টেরও এখান থেকে দেখা যায়। ক্যানোপি ওয়াক বা ঝুলন্ত ব্রিজ বিখ্যাত এবং লোলেগাঁও এবং উত্তরবঙ্গের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ।দিন ৪ :–              আজ রেল্লি হ্যাঙ্গিং ব্রিজ আর সুরুক পার্ক ঘুরবো। এই জায়গা টা হোলো তিস্তা আর রেল্লি নদীর মিলন স্থান। এই জায়গা গুলো ঘুরে চুইখিম এর উদ্দেশ্যে রওনা দেবো। রাত্রি টা চুইখিম এ থাকবো। চুইখিম গ্রামে থাকার জন্য একটি জায়গা রয়েছে যা হুমরো হোম চুইখিম হোমস্টে হিসাবে দেখা যায়। এই জায়গাটি দার্জিলিং, কালিম্পং এবং ঘূর্ণায়মান রৌপ্য লিস নদীরজায়গাটি অনেকাংশে অনাবিষ্কৃত এবং এটি এতটাই যে উপত্যকা দিয়ে প্রবাহিত অসংখ্য হিমালয় নদীর স্রোতেরও কোনও নাম নেই। পশ্চিমবঙ্গের অজানা জায়গাগুলির তালিকায় চুইখিম বেশ নতুন। প্রাকৃতিক বন ও প্রাকৃতিক পরিবেশের কারণে আপনি আপনার উপত্যকার চারপাশে ঘুরে বেড়াতে এবং অগণিত স্ন্যাপশট গ্রহণ করতে পছন্দ করবেন।  হিমালয় উপত্যকার এক অপূর্ব দৃশ্য দেয়। স্থানীয় গ্রামবাসীরাও তাদের বাড়ি ভাড়া নিয়ে যায় এবং তাদের উপজাতির খাবারের স্বাদ নেওয়ার এক দুর্দান্ত সুযোগ। ভাসমান মেঘে স্নান করে কালিম্পংয়ের বিশাল পাহাড়গুলি চুইখিম গ্রামকে লালন করে। আপনি উপত্যকার পাশে বসে কলিম্পং পাহাড়ের দুরন্ত দৃশ্য এবং সুস্পষ্ট দিনে কাঞ্চনজঙ্ঘা দূরত্বের দর্শনীয় উপভোগ করতে পছন্দ করবেন। দিন ৫ :–            চুইখিম থেকে এন. জে. পি বেরিয়ে ট্যুর টা শেষ করবো। চুইখিম গ্রামে থাকার জন্য একটি জায়গা রয়েছে যা হুমরো হোম চুইখিম হোমস্টে হিসাবে দেখা যায়। এই জায়গাটি দার্জিলিং, কালিম্পং এবং ঘূর্ণায়মান রৌপ্য লিস নদীর হিমালয় উপত্যকার এক অপূর্ব দৃশ্য দেয়। স্থানীয় গ্রামবাসীরাও তাদের বাড়ি ভাড়া নিয়ে যায় এবং তাদের উপজাতির খাবারের স্বাদ নেওয়ার এক দুর্দান্ত সুযোগ। এখানে পেমলিং নামের একটা গ্রাম এ খুব সুন্দর ঝর্ণা আছে যার নাম যুগে ঝর্ণা। প্রায় আধ ঘন্টা ট্রেক করে ওখানে যেতে হবে। যেলবং এ ক্যানয়ন ট্রেক আছে মোটামুটি পুরো দিন লাগবে। এই বার ছুটি তে এই অচেনা জায়গা গুলো ঘুরে আসা  যায়।

AkkCrusier

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *