দার্জিলিং এর ” সান্দাকফু ” (অফবিট ডেস্টিনেশান) :-
প্রায় 3636 মিটার উচ্চতায় ,পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ স্থান সান্দাকফু থেকে হিমালয় পর্বতমালার বরফাচ্ছন্ন দৃশ্য দেখা যাবে। সান্দাকফুর অর্থ বিষবৃক্ষের উচ্চতা। এর কারন সান্দাকফুতে বিষাক্ত অ্যাকোনাইট বৃক্ষের প্রাচুর্য রয়েছে। সিঙ্গলীলা ন্যাশনাল পার্ক হয়ে এখানে অবতরণ করতে হবে। শিলিগুড়ি এনজেপি থেকে এর দূরত্ব প্রায় 92 কিমি। পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ পয়েন্ট সান্দাকফুতে উদ্যোগী হওয়ার সাথে সাথে পৃথিবীর পাঁচটি শীর্ষ চূড়ান্ত শিখর মাউন্ট লটসে, মাউন্ট মাকালু, মাউন্ট কাঞ্চনজঙঘা, মাউন্টেন এভারেস্ট এবং মাউন্ট পান্ডিম বহু অ্যাডভেঞ্চারার এবং প্রাচীন ট্রেকারস্ দের জন্য পবিত্র পাথরে পরিণত হয়েছে ।মানেভঞ্জন থেকে শুরু সান্দাকফু ভ্রমণ। এই মানেভঞ্জন হল অনেকগুলো বৌদ্ধস্তূপের জংশন। আবার মানেভঞ্জন কে সিঙ্গলীলা ন্যাশনাল পার্কের প্রবেশদ্বার হিসেবেও জানা যায়। মানেভঞ্জন থেকে শুরু হবে যাত্রা – চিত্রে বা চিত্রা, ম্যাগমা, টংলু, তুমলিং, গরিবাস, কালাপোখরী এবং বৃক্ষেভঞ্জন হয়ে সান্দাকফু পৌঁছতে হবে। মানেভঞ্জন থেকে 1950 সালের প্রাচীন ল্যান্ড রোভার গাড়িতেও ভ্রমণ করা যাবে। তবে গাড়ি চলাচলের এই রাস্তাটি খুব একটা আরামদায়ক নয়, তবে এর অভিজ্ঞতা হবে অবিস্মরনীয়। সান্দাকফুর দিকে সিঙ্গলীলা পর্বতশ্রেণী ভ্রমণকালে পূর্ব হিমালয়ের কাঞ্চনজঙঘা পর্বতমালা এবং মাউন্ট এভারেস্টের প্যানরোমিক দৃশ্য অবলোকন করা যাবে। প্রস্ফুটিত রডোডেনড্রন বৃক্ষ, পাইন বৃক্ষ এবং এলপাইনের দ্বারা সুসজ্জিত অরন্য ভ্রমণ করা যাবে। এখানে রেড পান্ডা এবং বার্কিং ডিয়ারের মতো কিছু দুর্লভ প্রাণীদের সন্ধান পাওয়া যাবে। ল্যান্ড রোভার গাড়িতে চেপে ভ্রমণকালে বরফাবৃত পর্বতশৃঙ্গের দৃশ্য দেখা যাবে, যা ঘুমন্ত বুদ্ধ বা ঘুমন্ত শিবার নামে পরিচিত। এছাড়া রয়েছে উপত্যকার সৌন্দর্য এবং রডোডেনড্রন এবং অর্কিডের প্রস্ফুটিত লাল ফুলের শোভায় সমগ্র উপত্যকাটি শোভিত হওয়ায় দৃশ্য। এখানকার তাপমাত্রা বছরের সবসময় মনোরম, তাই এপ্রিল থেকে মে এবং অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর এই দুটি সময় এখানে ভ্রমণ করার সবচেয়ে ভালো সিজেনটাইম।